নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (Asif Mahmud Sojib Bhuiya) মন্তব্য করেন, “যারাই নির্বাচন করবে বা রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে, তাদের কারোরই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয়।” তাঁর মতে, বিষয়টি ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়; শুধু তিনি বা মাহফুজ আলম নন—এমন আরও অনেকে আছেন যাদের পূর্বে রাজনৈতিক পদ-পদবী ছিল, এবং তাঁদেরও একই নীতি মেনে চলা উচিত।
এই বক্তব্যকে ঘিরে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান (Muhammad Rashed Khan) তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যারা রাজনীতি বা নির্বাচন করবে, তারা কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হলো?”
রাশেদ খান লিখেছেন, “আমার আসলে বোধগম্য হচ্ছে না! তখন বলা হয়েছিল—যারা উপদেষ্টা হবেন, তারা রাজনীতি ও নির্বাচন করতে পারবেন না। এখন আবার বলা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কথা হচ্ছে। তাহলে কি এই সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়ে গেল?”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “কেউ পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য শপথ নেয়নি। বরং উপদেষ্টা হয়েছেন তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের জন্য। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার আগে কারো পদত্যাগের সুযোগ থাকা উচিত নয়। কেউ যদি দায়িত্বে গাফিলতি করে, তাহলে তাকে বহিষ্কার ও শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে, এবং যে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, দায়িত্ব পালন না করলে তার কাছ থেকে দ্বিগুণ জরিমানা আদায় করা উচিত।”
রাশেদ খান সতর্ক করে দেন, কারো নামের আগে ‘সাবেক উপদেষ্টা’ উপাধি জুড়ে সিভি ভারি করার জন্য জনগণ রক্ত দেয়নি। সঠিক বিচার, সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে। এই ত্যাগ যেন কারো ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়, সে আহ্বান জানান তিনি।