জাতীয় নাগরিক পার্টির (National Citizen Party) (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার-কে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নিজ পদ ও দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করেছে দলটি। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে বহিষ্কারের খবরটি মাহিন জানতে পারেন সরাসরি একটি টেলিভিশন টকশোর আসরেই, যেখানে তিনি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
টকশোতে উপস্থাপকের কাছ থেকেই বহিষ্কারের খবর জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করেন মাহিন সরকার। তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি আমার রাজনৈতিক দল, ভবিষ্যতেও আমি সেখানে থাকতে চাই। আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যেহেতু আমি এখনও মাস্টার্সে বাংলার শিক্ষার্থী, আমি জানতে চেয়েছিলাম—এই অবস্থান থেকে আমার রাজনৈতিক ভূমিকা কী হতে পারে। কিন্তু কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা আমি পাইনি। দলীয় উত্তরে বিষয়টি ছাত্র রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, অথচ কেন আমি অংশ নিতে পারব না তার যুক্তি পাইনি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি চাইতাম, তারা যদি একটু পরিষ্কার করে বলত তাহলে ভালো হতো। তারা আমার কাছে জবাব চেয়েছিল, আমি সরাসরি তা দিয়েছি। কিন্তু বহিষ্কারের কারণ আসলে আমি জানি না। উপস্থাপকের মুখ থেকেই প্রথম শুনলাম যে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে প্রশ্ন
কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল কিনা—এমন প্রশ্নে মাহিন স্পষ্টভাবে জানান, “না, আমাকে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আলোচনায় জানিয়েছিলাম, এমন ঘটনা ঘটলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। দলের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমি তাদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত আমাকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলে। তখন আমি বলেছিলাম, কারণটা তো আগে জানা উচিত—কেন পদত্যাগ দেবো।”
ডাকসুকে ঘিরে ঘটনা?
এ বহিষ্কার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ইস্যুর সঙ্গে কোনো যোগ আছে কিনা, সে প্রশ্নে মাহিন জানান, *“এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।”