মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানীর নামে হাজার হাজার প্রবাসী শ্রমিকের স্বপ্ন ভেঙে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সিন্ডিকেটের মূল হোতা রুহুল আমিন স্বপন (Ruhul Amin Swapon)। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর তার অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) (CID)। এ অভিযোগে স্বপন ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছে সংস্থাটি।
বুধবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান (Jasim Uddin Khan) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে স্বপনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই অর্থের বড় অংশ ঢাকার অভিজাত এলাকা উত্তরা, বনানী ও বসুন্ধরায় একাধিক বাড়ি ও জমি কেনায় ব্যবহার করে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন।
সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, “ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল” নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বপন ২৩১ কাঠা জমি কিনেছেন, যার দলিল মূল্য ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বেশি। তবে বাজারদর ও অবকাঠামোর প্রকৃত হিসাব মিলিয়ে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
অভিযোগে বলা হয়, এই অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে স্বপন জঘন্য মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন এবং বিদেশে টাকাপাচার করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছেন। সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।
সিআইডি আরও জানিয়েছে, শুধু স্বপন নন, তার সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও সংশ্লিষ্ট ধারায় সবার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে সংস্থাটি।