সিলেটে বালু-পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা

সিলেট জেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশ জারি করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম (Md. Sarwar Alam)। প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ হলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন, লুণ্ঠন এবং পাচারের সঙ্গে জড়িত। এতে পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এসব কারণেই প্রশাসন অবৈধ বালু-পাথর ব্যবসার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে লুট করা পাথর ফেরত দেওয়ার জন্য তিন দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল প্রশাসন। মঙ্গলবার ছিল সেই সময়সীমার শেষ দিন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার জৈন্তাপুর উপজেলায় পাথর লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের কারাদণ্ড দেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর স্বেচ্ছায় ফেরত দিয়েছে স্থানীয়রা। বাকি প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ ঘনফুট পাথর প্রশাসন উদ্ধার করেছে। ইতোমধ্যে ১১ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ শ্রমিক, ৪০০ নৌকা ও ৩০০-রও বেশি ট্রাক কাজ করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বাকি পাথর পুনঃস্থাপন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া (Mohammad Robin Mia) বলেন, ‘আমাদের দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো উদ্ধার অভিযান নয়, বরং সরাসরি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *