দেশের বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার নতুন একটি বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই বাহিনীর নাম হবে ‘এয়ার গার্ড বাংলাদেশ’ (এজিবি), যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি অধিদপ্তর হিসেবে কাজ করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিকল্পনার কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য ইতোমধ্যেই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট গঠিত এই ১২ সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ)। কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের প্রতিনিধি রয়েছেন। তাদের মূল দায়িত্ব হলো—এয়ার গার্ড বাংলাদেশ গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে সুপারিশ তৈরি করা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এজিবি গঠনের একটি প্রস্তাব এসেছে। তবে বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবটির কার্যকারিতা এবং এটি আদৌ প্রয়োজনীয় কিনা—তা নির্ধারণের জন্যই কমিটি কাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি (Nasimul Gani)। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (ICAO) এর নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করতে এই বাহিনী গঠন করা হবে। তার ভাষায়, “এটি এখন সময়ের দাবি। বিমানবন্দরগুলোতে আলাদা নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই এজিবি আসছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, প্রথম ধাপে এজিবি একটি বাহিনী হিসেবে কার্যক্রম শুরু করবে। পরে এর পরিধি বাড়িয়ে এটিকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা হবে।
বার্তা বাজার/এস এইচ