বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা (Rumin Farhana) অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচন নানা অনিয়ম ও কারচুপির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রকৃত ভোটার নন এমন ব্যক্তিরাও ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “সারা দিন ধরে জাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে, মুহূর্তে মুহূর্তে খবর এসেছে। ছাত্রদলের প্যানেল সংবাদ সম্মেলন করেছে, শিবিরের প্যানেল সংবাদ সম্মেলন করেছে। এমনকি হল থেকে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারাও বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।”
তিনি আরও জানান, নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনজন শিক্ষকও ভোট বর্জন করেছেন এবং তারা প্রত্যেকেই একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন—ভোটকেন্দ্রে কারচুপি হয়েছে, এমনকি আগে থেকেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখার ঘটনাও ঘটেছে।
রুমিন ফারহানা বলেন, “একটি হলে ভোটার সংখ্যা ছিল ২৯৯, কিন্তু সেই হলে পাঠানো হয়েছে ৪০০ ব্যালট পেপার। বলা হয়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি ব্যালট ছাপানো হয়েছে। অথচ ভোটারদের ছবিসহ তালিকা করার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি। ফলে যে কেউ ইচ্ছামতো গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে।”
তার দাবি, শুধু ছাত্রদল নয়, অন্যান্য প্যানেলও নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। প্রশাসন দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে বলে কেউ মনে করেনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি যে কারণে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। তবে সেই কারণ জনগণ গ্রহণ করবে নাকি একে অজুহাত হিসেবে দেখবে, সেটিই মানুষের নিজস্ব বিচার।