ফরহাদ ও সাদিকের নামে আগে থেকেই ‘টিক’ দেয়া ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন টিএসসি কেন্দ্রে আগে থেকেই টিক চিহ্ন দেওয়া ব্যালট সরবরাহের অভিযোগ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছিল, শিবিরের ফরহাদ ও সাদিক কায়েমের নামে আগে থেকেই টিক দেওয়া ব্যালট হাতে পেয়েছিলেন এক ছাত্রী ভোটার।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে টিএসসি কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান ফোনে জানান, এক ছাত্রী ভোটার এক নম্বর টেবিল থেকে ব্যালট সংগ্রহ করে বুথে প্রবেশের পর প্রায় এক মিনিট পরে বের হয়ে আসেন। তিনি দাবি করেন, তার একটি ব্যালটে আগে থেকেই দুটি প্রার্থীর পক্ষে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল।

ওই ছাত্রী চিহ্নিত ব্যালটে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে পোলিং অফিসার এবং ভোট ব্যবস্থাপকের সহায়তায় সেই ব্যালটটি তার কাছ থেকে নিয়ে আলাদা প্যাকেটে সংরক্ষণ করা হয়। তাকে নতুন করে ব্যালটের ১ নম্বর পাতাটি প্রদান করা হয় এবং তিনি আবার বুথে প্রবেশ করে ভোট প্রদান করেন। ঘটনার পর চিহ্নিত ব্যালট সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, উপস্থিত তিনজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে তাদের বর্ণনা কেন্দ্র প্রধানের বক্তব্যের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। ফলে ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসিত হয় এবং প্রচলিত নিয়ম বা প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি বলে নিশ্চিত করা হয়।

চিফ রিটার্নিং অফিসার জানান, পরবর্তীতে ঘটনাটির ভিডিও ফুটেজ হাতে আসে। ভিডিও পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ছাত্রী মোট চারবার বুথে প্রবেশ করেন—প্রথমবার প্রায় ৪০ সেকেন্ড, দ্বিতীয়বার ৬৬ সেকেন্ড, তৃতীয়বার মাত্র ২ সেকেন্ড এবং চতুর্থবার ১০ মিনিটেরও বেশি সময় তিনি বুথে অবস্থান করেন। শেষবারে তিনি ভোট দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

তবে ওই ছাত্রীর বারবার বুথে প্রবেশ-প্রস্থান এবং উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনকে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ প্রশ্নবিদ্ধ ও সন্দেহজনক বলে মনে করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *