ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে আদালতে দাঁড়ালেন জামায়াতপন্থী আইনজীবী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দায়ের হওয়া এক মামলায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কলাবাগান থানার সাবেক সহসভাপতি সাদাফ আহমেদ অনিক-এর গ্রেপ্তার না দেখানোর পক্ষে শুনানি করেছেন জামায়াতপন্থী হিসেবে পরিচিত এক আইনজীবী।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালতে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক এই শুনানি করেন। আদালত সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কলাবাগান এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক সালাউদ্দিন জাবেদ-কে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সাদাফ আহমেদ অনিকের পাশাপাশি শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল-কেও কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

শুনানিতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন, অনিক বর্তমানে কোনো দলীয় পদে নেই, তাই তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো উচিত নয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি শামসুদ্দোহা সুমন বিপরীত যুক্তি দেন এবং গ্রেপ্তারের পক্ষে মত দেন। শেষ পর্যন্ত আদালত দুজনের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে সালাউদ্দিন জাবেদ পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাসেল স্কয়ার থেকে সায়েন্সল্যাবের দিকে যাচ্ছিলেন। কলাবাগান ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাঁর মোবাইল ফোন তল্লাশি করে। সেখানে ছবি ও ভিডিও পেয়ে তাঁকে মারধর করা হয়, হুমকি দেওয়া হয় এবং মানিব্যাগ থেকে চার হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট কলাবাগান থানায় মামলা করেন জাবেদ। পুলিশ চলতি বছরের ২৭ মে অনিককে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি মোস্তফা কামালকে গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে জামায়াতপন্থী প্যানেল থেকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও একাধিকবার ফোন করেও তিনি সাড়া দেননি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *