“আমরা কাউকে ডমিনেট করব না, বিগ ব্রাদারি আচরণ দেখাব না” – জোট গঠনে সর্বোচ্চ ছাড়ে প্রস্তুত জামায়াত

আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনের আলোচনা জোরদার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একাধিক ইসলামী সংগঠন একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্মে আসতে আগ্রহী বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, যেখানে জামায়াতে ইসলামি (Jamaat-e-Islami) সহ বেশ কয়েকটি দল যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইসলামী দলগুলোর শীর্ষ নেতারা জানান, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে ভোটসহ নানা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চললেও, একই আন্দোলনের ভেতর থেকেই নির্বাচনী জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

জোট গঠনের বিষয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা কাউকে ডমিনেট করব না, বিগ ব্রাদারি আচরণ দেখাব না। প্রয়োজন হলে আসন ছাড়ব, নেতৃত্ব নিয়েও কোনো দমনমূলক অবস্থান নেব না।”

অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (Mufti Syed Muhammad Rezaul Karim), যিনি চরমোনাই পীর নামে পরিচিত, বলেন, “ইসলামী সমমনা দলগুলো ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স। দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকেই আমরা সঙ্গে নেব। যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতাতেই নির্বাচনী সমঝোতা সম্ভব হচ্ছে।”

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ জানান, “জোট শুধু টেবিলে হয় না, রাজপথেও হয়। আমরা বৃহত্তর ইসলামী জোট গঠনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। শুধু ইসলামপন্থি নয়, যে কেউ আমাদের সঙ্গে থাকতে চাইলে এই প্ল্যাটফর্মে জায়গা পাবে।”

গত এপ্রিল থেকে জামায়াত ছাড়া আরও পাঁচটি ইসলামী দল একটি লিয়াজো কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সমন্বয়ের দায়িত্বে কাজ করছে। তবে শীর্ষ নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, চূড়ান্ত জোটের সিদ্ধান্ত মূলত বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ও আচরণের ওপর নির্ভর করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *