বিএনপির স্থগিত হওয়া পদধারী নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী ফজলুর রহমান (Fazlur Rahman) প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ধরা পড়া এক তরুণীর পক্ষে তিনি আদালতে দাঁড়াবেন। সেই তরুণী একসময় তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, “ফজু পাগলা গ্রেফতার না হলে এখান থেকে যাব না।” এবার একই তরুণী সমন্বয়কের পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও তার পক্ষে দাঁড়ানোই নিজের দায়িত্ব মনে করছেন তিনি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি ওই মেয়েটির পক্ষে কোর্টে দাঁড়াব। ছাড়াবো না কেন? এরা তো আমার মেয়ে। এদের জামায়াত নষ্ট করছে, ঠিক করতে হবে আমার। আমি দেশের ভালো চাই, আমি চাই এদেরও ভালো হোক।”
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাকে যে অপমান করেছেন, জন্মের পর থেকে কোনো রাজনৈতিক দল তাকে এমন অপমান করেনি। তার দাবি, মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে তিনি লড়াই করেছিলেন, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। দেশে এখনো প্রকৃত মনুষত্ব, বিবেক ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তবে তিনি স্বীকার করেন, বাংলাদেশ এখন শিল্প-কারখানা থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। তবুও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এখন বলা হয় ১৯৭১ সালের যুদ্ধ নাকি ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া ছিল। এর চেয়ে নিমকহারামি আর কিছু হতে পারে না। যেমন কারবালার ইতিহাস কখনো ইয়াজিদরা মুছে ফেলতে পারেনি, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরাও স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, যেমন মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার নাম আজও ঘৃণার সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও যুগে যুগে বাঙালির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।