ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কে পৌঁছেছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও নাগরিক অধিকারকর্মী শহিদুল আলম (Shahidul Alam)। শুক্রবার দুপুরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে পৌঁছান।
তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক (M Amanul Haque) জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে) শহিদুল আলমকে বহনকারী ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুলে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, আজই তিনি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ইস্তাম্বুল সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন শহিদুল আলম। ফ্লাইটটি আগামীকাল শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
স্বাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দৃক (Drik)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম নাগরিক অধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর নৌবহরে অংশ নিতে গিয়েই গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হন তিনি।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গাজায় নৌ অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ গঠন করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ উদ্যোগের আটটি নৌযানও যুক্ত হয়। মোট ৯টি নৌযানের এই বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা অংশ নেন। সেই দলেই ছিলেন শহিদুল আলম। কিন্তু যাত্রার মধ্যেই ইসরায়েলি সেনারা বহরটি ঘিরে ধরে সব নাবিক ও অধিকারকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়।
এরপর শহিদুল আলমসহ আটক ব্যক্তিদের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার তাঁর মুক্তির জন্য জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়।
অবশেষে কারামুক্ত হয়ে শহিদুল আলম আজই ইসরায়েল থেকে তুরস্কে যান। তাঁর মুক্তি ও দেশে ফেরার সহায়তার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান (Recep Tayyip Erdoğan)-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।
