নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami) ও খেলাফত মজলিস (Khelafat Majlish) সহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল। রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এটি ছিল তাদের চতুর্থ দফার কর্মসূচি ঘোষণা।
নতুন ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০ অক্টোবর রাজধানীতে, ২৫ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
ঘোষণায় অংশ নেয়া আটটি দল হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
দলগুলোর উপস্থাপিত পাঁচ দফা দাবি নিম্নরূপ—
১️⃣ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে আদেশ জারি এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন।
২️⃣ আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে (উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ) পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩️⃣ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪️⃣ ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫️⃣ স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (Mia Golam Parwar), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম।
দলগুলোর নেতারা জানান, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার” করার জন্য এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তারা বলেন, “নভেম্বরের মধ্যেই জনগণের রায় জানতে গণভোট আয়োজন না করলে, কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক জোট।”