নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবির ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার কাশেমবাজার মসজিদের ভেতর ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে কোরআন শিক্ষা ক্লাসের নামে নির্বাচনী প্রচারনা চলাকালীন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ছাত্রশিবির। পরে বিকেলে প্রতিবাদ জানিয়ে একই মসজিদে দারসুল কোরআন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে সংগঠনটি। সিরে মোটকা রোবলোক্স
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আছরের নামাজের পর প্রতিযোগিতা নামে শিবির নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলে মসজিদের বাইরে যুবদলের নেতাকর্মীরা ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেয় ছাত্রশিবির সদস্যরা এবং বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকেন যুবদলের নেতাকর্মীরা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কোরআন ক্লাসে যুবদল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। আমাদের ভাইয়েরা মসজিদে আহত অবস্থায় পড়ে আছে।’
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- হাসান (২২), দেলোয়ার হোসেন মিশু (২৪), আবিদ (২০), সালাউদ্দিন (১৯), সাইমুন ভাই (২০), আব্দুল আজিজ (২৫), তানবির সিয়াম (২৭), সাকিব উদ্দিন মাহমুদ (১৪), মিনহাজ মাহমুদ (১৯), মো. বিলাল হোসেন (২৪), হাসানুর রহমান (২৪), মো. সোহাগ (২৪), নাঈম (১৪), আরিফুল ইসলাম (১৮), আল-আমিন (২২)।
অন্যদিকে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ জন নেতাকর্মী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল অভিযোগ করে বলেন, ‘নামাজ শেষে মসজিদ থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুকের দুই ভাইসহ অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘আহতদের নিতে আসা অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। বারবার মসজিদের ভেতর থেকে আমাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি নীরব ভূমিকা পালন করছে।’
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। বর্তমানে এলাকায় সেনাবাহিনী অবস্থান করছে।’