সিলেট বিভাগের চার জেলার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)। রোববার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আলাদাভাবে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শিগগিরই প্রতিটি আসনে একক প্রার্থীকে “গ্রিন সিগন্যাল” দেয়া হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিভাগের বৈঠক শেষে একক প্রার্থীর বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও জানানো হতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ (GK Gaus) সহ বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
বিকাল ৩টার দিকে সিলেট বিভাগীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। প্রথমেই সুনামগঞ্জ জেলার প্রার্থীরা অংশ নেন, যা প্রায় ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। পরে সিলেট জেলার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়। প্রতিটি বৈঠকের শুরুতেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর প্রত্যেক প্রার্থীকে দুই থেকে তিন মিনিট সময় দেয়া হয় নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। শেষে বিএনপি মহাসচিব দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রচারণা ও দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
সূত্র অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের ১০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং সিলেট জেলার ৬টি আসনের ১৬ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হবিগঞ্জের চারটি আসনের প্রায় ২০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী সেখানে অংশ নেন।
বৈঠকে নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলেন, “দেশ ও জনগণের স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণ অপরিহার্য।” পাশাপাশি জানানো হয়, নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) প্রার্থীরাই বিএনপির সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে।
সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ বলেন, “বৈঠকে বলা হয়েছে, একক প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে।” তিনি আরও জানান, “জনগণকে সন্তুষ্ট করা এবং ভোটারদের মন জয় করার জন্য নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”