ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোট পর্যবেক্ষণে দেশীয় ৬৬টি সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইসির কর্মকর্তারা। পাশাপাশি আরও ১৬টি সংস্থার ব্যাপারে দাবি-আপত্তি চেয়ে ১৫ কার্যদিবস সময় দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এবার দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা—১০ আগস্টের মধ্যে ৩১৮টি আবেদন জমা পড়ে। নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর আরও ১৩টি আবেদন জমা হয়। এসব আবেদনের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ৭৩টি সংস্থাকে উপযুক্ত হিসেবে বাছাই করে কমিশন।
এরপর ৭৩টি সংস্থার বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই প্রক্রিয়ার শেষধাপে ৭টি সংস্থা বাদ পড়ে, ফলে চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছে ৬৬টি সংস্থা।
এর আগে, ২০২৩ সালে তৎকালীন কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৯৬টি সংস্থাকে ৫ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত এ এম এম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন নতুন নীতিমালা তৈরি করে আগের সব নিবন্ধন বাতিল করে এবং নতুন করে আবেদন আহ্বান করে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছিল ২০০৮ সালে, ড. এ টি এম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। সে সময় ১৩৮টি দেশীয় সংস্থা নিবন্ধিত হয়।
বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, নিবন্ধিত সংস্থাগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পর কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বাধ্য থাকবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ডিসেম্বরের প্রথম ভাগে তফসিল ঘোষণা করতে চায় ইসি। সে লক্ষ্যেই নিবন্ধনসহ অন্যান্য প্রস্তুতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।


