‘ধর্মের নামে ‘ব্যবসা’ করা একটি দল ষড়যন্ত্র করছে’—নয়াপল্টনে মির্জা আব্বাস

ধর্মের নামে ‘ব্যবসা’ করা একটি দল দেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে—এমন বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন মির্জা আব্বাস (Mirza Abbas)। বিএনপি (BNP) নেতা শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আসলে ওই দলটিই, যারা ধর্মের নামে ‘বেহেশতের টিকিট’ বিক্রি করে।

তিনি বলেন, “একটি দল যারা ধর্মের নামে ব্যবসা করে, বেহেশতের টিকিট দেয়, তারা বলছে একটি বৃহৎ দল দেশের গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি বলব, যারা এই ধরনের কথা বলছেন, তারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়েই ষড়যন্ত্র করছেন।”

মির্জা আব্বাস জোর দিয়ে বলেন, বিএনপির ষড়যন্ত্রের কোনো ইতিহাস নেই। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার নজির দলটির নেই বলেও দাবি করেন তিনি। তার ভাষায়, “এই দেশের স্বাধীনতা বিএনপির নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman) সাহেবের নেতৃত্বে হয়েছিল। আজ ৭ নভেম্বর, অথচ কেউ সেই দিনটি নিয়ে কথা বলছেন না—এমনকি দিনটিকে অবজ্ঞাও করা হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনছেন, তাদের ইতিহাস বরং স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধিতার, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থানের।”

আব্বাস বলেন, “১৯৪৭ সাল থেকে আপনারা জনগণের সঙ্গে না থেকে বারবার জনগণের বিরুদ্ধে গেছেন। ১৯৭১ সালেও তাই করেছেন। আজকেও সেই চেষ্টা করছেন।”

সরকারের প্রতি বিএনপির ‘সহযোগিতার মনোভাব’কে দুর্বলতা ভেবে ভুল না করতে সরকারকে সতর্ক করে দেন তিনি। মির্জা আব্বাস বলেন, “আমরা গত কিছুদিন ধরে শান্ত, সভ্য ও ভদ্রভাবে আচরণ করছি। বলেছিলাম—সরকারকে সহযোগিতা করব। আমরা তা করে যাচ্ছি। কিন্তু যদি এই নম্রতাকে দুর্বলতা ভাবেন, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বিএনপি যদি মাঠে নামে, আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না, ট্যাবলেট খাওয়ার সময়ও পাবেন না।”

জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সনদের ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং সনদ বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, “অনেকে লম্বা লম্বা কথা বলেছে সনদ নিয়ে। আমরা বারবার এটাকে মানতে চেয়েছি। কিন্তু আপনারা একটার পর একটা খুঁত ধরেছেন, এটা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।”

তিনি সরকারকে ‘অপকর্ম’ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বিগত দিনের ইতিহাস দেখে নিন, ভুল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান। এখনো সময় আছে—আর বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *