খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় ও রূপসা বাইপাস সড়ক মঙ্গলবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হঠাৎ করেই। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ (Bangladesh Chhatra League) এবং কার্যক্রম স্থগিত থাকা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ (Jubo League) ওই এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে সংগঠনের কর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে রূপসা বাইপাস সড়কের সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশজন যুবলীগ কর্মী মশাল হাতে আকস্মিকভাবে ঝটিকা মিছিল বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা দ্রুত ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ওই সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা করেন। একই রাতে নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীও হঠাৎ মিছিল বের করে; সেখানেও পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।”
এদিকে একই রাতে খুলনা মহানগর ও জেলা এনসিপি (National Congress Party) কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর টাইগার গার্ডেন সংলগ্ন এনসিপি কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ হামলা চালায়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত প্রায় একটার দিকে হামলাকারীরা কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে এগিয়ে গেলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর এনসিপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন। তবে বুধবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন। তিনি বলেন, “এনসিপির নেতারা মামলা দিলে আমরা তা গ্রহণ করব।”
এনসিপির খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, “এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
বার্তা বাজার/এমএমএইচ


