নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে নয়, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতসহ ৮ দলের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami) সহ সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের (Syed Abdullah Muhammad Taher) বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)-কে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ জারি করায় ধন্যবাদ জানালেও, একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তিকর ও জনস্বার্থবিরোধী।” তিনি আরও বলেন, “এই সিদ্ধান্ত দলগুলো প্রত্যাখ্যান করছে এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যেন তিনি তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করেন।”

তাহের বলেন, “এই সনদের কার্যকারিতা নির্ভর করছে জনগণের মতামতের ওপর। সেই মতামত জানার একমাত্র বৈধ উপায় গণভোট, যা অবশ্যই নির্বাচনের আগেই হওয়া উচিত। নির্বাচনের আগে যদি জনগণ কিছু গ্রহণ না করে, তবে পুরনো নিয়মেই নির্বাচন হতে পারে। আর যদি কিছু বা পুরোটা গ্রহণ করে, তখন সেই ভিত্তিতেই নির্বাচন হওয়া উচিত।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টা গণভোট পিছিয়ে দিয়ে দুটি ‘ঠুনকো যুক্তি’ দিয়েছেন—এক, খরচ সাশ্রয়; দুই, গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট বেশি পড়লে বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হবে। তাহের বলেন, “জাতীয় প্রয়োজনের প্রশ্নে অর্থ খরচ হওয়াটা স্বাভাবিক। আর গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বেশি পড়লে সেটা বাস্তবায়নের সংকল্প হওয়া উচিত, অজুহাত নয়।”

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, আট দলের পক্ষ থেকে আগামীকাল (শুক্রবার) বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশব্যাপী পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ চলবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতির মুক্তির জন্য রাজনৈতিক জট খুলবে—এমন প্রত্যাশা ছিল প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ঘিরে। কিন্তু ভাষণের কিছু অংশ এই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং গণদাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। তারা মনে করে, আগে গণভোট না হলে নির্বাচন আদৌ অর্থবহ হবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *