জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)-এর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশন বলছে, সরকার থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে (Election Commission Bhaban) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন (A M M Nasir Uddin) বলেন, “আমি প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ শুনিনি। বিস্তারিত না জেনে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সঠিক হবে না। আমরা যখন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানব, তখন কমিশনে আলোচনা করে মতামত দেব।”
তিনি বলেন, “ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, কমিশনে এক্সারসাইজ করে এবং বিশ্লেষণ করে আমরা অবস্থান জানাতে পারব। এখন মন্তব্য দেওয়া যথার্থ হবে না।”
সিইসি আরও জানান, সংলাপে ব্যস্ত থাকায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার বিষয়ে অবগত নন। তবে নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের কিছু সুফল রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তাদের মতে, একসঙ্গে দুটি নির্বাচন হলে আলাদা করে নতুন প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে না। একই ভোটকেন্দ্রে বাড়তি একটি কক্ষ ও ব্যালট পেপার যুক্ত করলেই ভোট নেওয়া সম্ভব। এতে ব্যালট বক্স ও ভোট কর্মকর্তার সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। তবে এতে দুই-তৃতীয়াংশ খরচ কমে আসবে।
তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। একসঙ্গে নির্বাচন ও গণভোট হলে গণনা দীর্ঘায়িত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রাত পার করেও ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় আনুমানিক ২,৮০০ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে গণভোট যুক্ত হলে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়তে পারে। তবে গণভোট আলাদাভাবে আয়োজন করলে খরচ প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন অপেক্ষায় আছে—সরকার কবে নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে গণভোট বিষয়ে তাদের জানায়। এরপরই কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেবে।


