হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বললো পাকিস্তান

ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-কে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, বাংলাদেশের জনগণই তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সংকটের সমাধানে সবচেয়ে যোগ্য।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ইসলামাবাদে সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি (Tahir Andrabi) বলেন, “শেখ হাসিনার মামলাটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আশা করি, বাংলাদেশিরা তাদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করবে।”

এর আগে গত সোমবার বহুল আলোচিত এক রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়, ১৫ মাস আগে ছাত্রনেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী আন্দোলনে ‘প্রাণঘাতী দমন-পীড়নের’ নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ দণ্ড বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের কাছে তাকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। ঢাকা জানিয়েছে, এই প্রত্যর্পণ না করা ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি-র পরিপন্থী হবে।

তবে ভারত এখনো সে অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। বরং তারা পূর্বের অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে তারা সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। ফলে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রশ্নে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কূটনৈতিক জটিলতা বাড়ছে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও ইসলামাবাদ নিজের অবস্থানকে ‘নিরপেক্ষ ও নন-ইন্টারফেয়ারিং’ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে, তবে তাদের এই প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ এশীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *