ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জাতীয় সনদ বিষয়ে গণভোট—এই দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া একই দিনে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিতে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ (Akhtar Ahmed)।
আখতার আহমেদ বলেন, “সরকার জানিয়েছে, গণভোট আয়োজন করা ইসির দায়িত্ব এবং একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করতে হবে।” তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন এখন তফসিল প্রস্তুতির পাশাপাশি গণভোটের প্রস্তুতির কাজও শুরু করতে যাচ্ছে।
চিঠি পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন (A M M Nasir Uddin) বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার পর এখন কমিশনের দায়িত্ব একসঙ্গে দুটো কর্মসূচি—জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট—পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া।”
সিইসি জানান, “আগামী সপ্তাহেই গণভোটের জন্য আইন পাস করা হবে। আইনটি হলে কমিশন গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে।” তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আগে কখনও এমন মুখোমুখি অবস্থায় পড়েনি কোনো নির্বাচন কমিশন।”
সিইসি আরও বলেন, “পূর্ববর্তী কোনো কমিশনের এমন জটিলতা বা চাপের মুখোমুখি হতে হয়নি, যেমনটি আমাদের হচ্ছে। কারণ, আমরা আইন মেনে প্রতিটি ধাপ অগ্রসর হচ্ছি এবং আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই।”
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের নির্দেশনা আসায় কমিশনকে দ্বিগুণ প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।


