পাবনার ঈশ্বরদী-তে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি (BNP)-র নেতাকর্মীদের ওপর জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ এনে দলটি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি এই ঘটনার দায় জামায়াতের ওপর চাপিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওই হামলায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়ে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিশেষ করে অভিযোগে উঠে এসেছে, হামলার নেতৃত্ব দেন জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল। হামলাকারীরা স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মী এবং তারা পরিকল্পিতভাবেই বিএনপির প্রচারণায় হামলা চালায় বলে দাবি দলটির।
বিএনপি জানায়, প্রচারণার সময় জামায়াত কর্মীরা “ধর্মীয় প্রলোভন” ও “জান্নাতের টিকিট”–জাতীয় বক্তব্য ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। এ ধরনের বক্তব্যে প্রতিবাদ জানানোয় স্থানীয় কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষ জামায়াত কর্মীদের রোষানলে পড়েন এবং তাদের ওপরই হামলা চালানো হয়। সেই হামলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরাও রেহাই পাননি।
দলটি জানায়, কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালেও, দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত একটি ছবিতে জামায়াত কর্মী তুষারকে অস্ত্র হাতে দেখা গেছে, যা ঘটনার প্রকৃতি স্পষ্ট করে দেয়।
বিবৃতিতে বিএনপি আরও বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এই সহনশীলতা যেন দুর্বলতা মনে না করা হয়, সে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে দলটি। সহিংসতার জবাব সহিংসতায় নয়—এই নীতিতেই তারা চলবে বলে জানায়।
দলটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য রাখতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই হামলায় জড়িত বেশ কয়েকজনের ছবি এবং পরিচয় বিভিন্ন স্থানীয় মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যাদের বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মী হিসাবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয়রা।


