বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। শনিবার সকালে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি দলটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। তবে তার এই যোগদান ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া।
মেজর আখতারকে জামায়াতে নেওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদ (Gono Odhikar Parishad)-এর সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। শনিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পুরোনো টকশোর ভিডিও শেয়ার করে তিনি এই প্রতিবাদ জানান।
ভিডিওটির ক্যাপশনে রাশেদ খাঁন লেখেন, ‘যারা কোটা আন্দোলন করছে, তারা সবাই রা’\জা’\কা’\র: নব্য জামায়াত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান (বলেছিলেন)।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাইয়ের গ’\ণঅ’\ভ্যু’\ত্থান চলাকালীন সময়ে ওই টকশোতেই মেজর আখতার তাকে সরাসরি রা’\জা’\কা’\র বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার বক্তব্য ছিল, রাশেদের ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজলেই সবকিছু বের হয়ে আসবে।
রাশেদ খাঁন লেখেন, এই বক্তব্যের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের কোনো পার্থক্য ছিল না। একই ভাষা, একই সুর। সেখান থেকেই তিনি প্রশ্ন তোলেন—যদি এই ধরনের বক্তব্যই গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে শেখ হাসিনার জন্যও কি জামায়াতে জায়গা তৈরি হবে?
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তিনি অবাক হননি, কিন্তু গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছেন। তার মতে, এই সিদ্ধান্তে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের বহু নেতাকর্মীও মানসিকভাবে আহত হয়েছেন। তিনি লেখেন, ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় সমাজের নিকৃষ্ট মানুষদের দলে স্থান দেওয়া জুলাইয়ের গ’\ণঅ’\ভ্যু’\ত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
সবশেষে রাশেদ খাঁন মন্তব্য করেন, এই ‘গা’\দ্দা’\র’-কে জামায়াত দলে রাখে নাকি শেষ পর্যন্ত বাদ দেয়—সেই সিদ্ধান্ত দেখার অপেক্ষায় আছেন তিনি।


