ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি (Osman Hadi)–কে গু’\লি করার ঘটনায় হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান (Daud Khan)। পুলিশের গো’\য়েন্দা বিভাগ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজে গা’\জীপুরের এই দুর্ধর্ষ অপরাধীর চেহারার সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে মোটরসাইকেলের পেছনে বসে গু’\লি চালানো ব্যক্তির। হামলার ঘটনায় পাঁচজন সন্দেহভাজনকে গো’\য়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সড়ক ছিল ফাঁকা—এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই শুটার গ্রুপ হাদির পিছু নিয়ে অপারেশন সফল করে দ্রুত সটকে পড়ে। গু’\লি হাদির বাম কানের নিচে ঢুকে ডান কানের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই একটিমাত্র গু’\লিতেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে ধারণা গো’\য়েন্দাদের।
এখনো হামলাকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা না গেলেও সিসিটিভি ফুটেজ, আশপাশের লোকজনের গতিবিধি, এবং হাদির রিকশার আশপাশে থাকা যানবাহনগুলো—সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের একাধিক টিম। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্তত একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
ডিবি’র এক কর্মকর্তা জানান, মোটরসাইকেলে থাকা ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সঙ্গীকে ধরতে রাজধানীজুড়ে অভিযান চলছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে রাজধানীর আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় দাউদ খানের সম্পৃক্ততার প্রমাণও তদন্তে উঠে এসেছে। সে ঘটনায় তিনি র্যাব (RAB)-এর হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে ছাড়া পান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (Dhaka Metropolitan Detective Branch)-এর অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাদিকে কারা গু’\লি করেছে তাদের চিহ্নিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, তারা “ছায়া তদন্ত” চালাচ্ছেন এবং মাঠ পর্যায়ে তাদের টিম কাজ করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মূল অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিতে পারলে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করা হবে। জনগণের সহায়তা চেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


