উত্তরা থেকে ময়মনসিংহের পথে ভোররাতে ভাড়াকরা এক প্রাইভেট কারে যাত্রা করেছিলেন এক প্রেমিক যুগল। কিন্তু পথিমধ্যে চা খাওয়ার অজুহাতে প্রেমিককে নামিয়ে রেখে প্রেমিকাকে নিয়ে গাড়িসহ উধাও হন চালক। পরে তরুণীকে অ’\প’\হরণ ও ধ’\র্ষ’\ণের অভিযোগে গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ (Mymensingh District Police)।
পুলিশ জানায়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ (National Emergency Service 999)-এর তাৎক্ষণিক তৎপরতায় এবং পুলিশি সমন্বিত অভিযানে অপ’\হৃ’\ত তরুণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্ত চালকের নাম মনির (বয়স ৪৫)।
পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার (Inspector Anowar Sattar), ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা, আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনার বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানান।
৯৯৯ সূত্র জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে। এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, তিনি ও তার প্রেমিকা একটি সাদা রঙের টয়োটা প্রিমিও গাড়িতে উত্তরা আজমপুর থেকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু ভরাডোবা এলাকায় এসে চালক হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে চা খাওয়ার কথা বলেন। তখন কলার এবং চালক নেমে গেলেও তরুণী ঘুমিয়ে থাকায় গাড়ির ভেতরেই ছিলেন।
এরপর হঠাৎ চালক ‘মোবাইল আনছি’ বলে তরুণীসহ গাড়ি নিয়ে দ্রুত সরে পড়েন। প্রেমিক গাড়ির নম্বর বলতে না পারলেও, গাড়িটির ধরন—সাদা টয়োটা প্রিমিও—জানান ৯৯৯-কে।
কলটি গ্রহণ করেন কনস্টেবল ফাহিম হোসেন এবং উদ্ধার তৎপরতার সমন্বয় করেন ৯৯৯-এর এসআই দিলীপ কুমার বিশ্বাস। তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য জানানো হয় ময়মনসিংহ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে। এরপর ময়মনসিংহের সব থানা পুলিশের টহল দলকে তৎপর করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে দ্রুত অভিযানে নামে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (Mymensingh Detective Branch)। শহরের আকুয়া হাজিবাড়ি ও ফুলবাড়িয়া সড়কের একটি গ্যারেজ থেকে ১৮ বছর বয়সী তরুণীকে উদ্ধার করে তারা।
সেইসঙ্গে অপ’\হ’\রণে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ এবং চালক মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তরুণীর অভিযোগ, অপ’\হ’\রণের পর তিনি ধ’\র্ষ’\ণের শিকার হন। প্রাথমিক তদন্তেও এ তথ্যের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বিস্তারিত নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মুকিত হাসান।


