ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হ’\ত্যা’\চে’\ষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া আদালতে দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তার স্বামী মারিয়া আক্তার লিমার সঙ্গেই ছিলেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রিমান্ড শুনানিকালে আদালতে দেওয়া বক্তব্যে সামিয়া বলেন, ঘটনার দুই থেকে তিন দিন আগে স্বামীর সঙ্গে তার শেষ দেখা হয়েছিল। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার কয়েক দিন আগে ফয়সাল করিম বাসা থেকে কাপড় নিতে এসেছিলেন। এর বাইরে স্বামীর বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না বলেও আদালতকে জানান।
সামিয়া আরও বলেন, ফয়সাল সাধারণত গভীর রাতে তার কাছে আসতেন এবং সকালে চলে যেতেন। তাদের মধ্যে নিয়মিত কোনো যোগাযোগ ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তার দাবি, ঘটনার আগের সময়গুলোতে ফয়সাল তার সঙ্গে ছিলেন না—এ বিষয়টি তিনি আগেও একাধিকবার বলে আসছেন।
আদালতে দেওয়া বক্তব্যে সামিয়া স্পষ্ট করে বলেন, ঘটনার দিন ফয়সাল করিম মারিয়া আক্তার লিমার সঙ্গেই ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত বলেও জানান।
এদিকে, একই মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদ, তার স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং তার প্রেমিকা মারিয়া আক্তার লিমার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত তাদের প্রত্যেকের এই রিমান্ড আবেদন অনুমোদন দেন।
রিমান্ড শুনানিকালে মারিয়া আক্তার লিমা আদালতকে জানান, কিছু আর্থিক সমস্যার কারণে ফয়সাল তাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে ডিবি কার্যালয় থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হলে প্রত্যেকের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে র্যাব তাদের আটক করে। পরে শরিফ ওসমান হাদিকে হ’\ত্যা’\চে’\ষ্টা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় শরিফ ওসমান হাদিকে গু’\লি করা হয়। গু’\লি’\বি’\দ্ধ হয়ে গুরুতর আ’\হত অবস্থায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সোমবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলমান রয়েছে।


