হাদির পর হাসনাতই পরবর্তী লক্ষ্য, ‘৭ সিস্টার্স’ প্রসঙ্গে চুপ করানোর হুমকি—ভারতীয় সাবেক কর্ণেলের বিস্ফোরক মন্তব্য

ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদির ঘটনার পর এবার পরবর্তী টার্গেট হিসেবে হাসনাত আব্দুল্লাহর নাম সামনে এনেছেন ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়না। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সরাসরি ইঙ্গিতপূর্ণ ও ভয়াবহ ভাষায় এই হুমকির কথা বলেন। কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়না (Col. Ajay K Raina), যিনি নিজেকে একজন অভিজ্ঞ সামরিক বিশ্লেষক হিসেবে তুলে ধরেন এবং প্রায় ৩০টি বইয়ের লেখক হিসেবে পরিচিত, সেখানে শুধু লক্ষ্য নির্ধারণেই থেমে থাকেননি, কোথায় গু’\লি করা দরকার—তাও উল্লেখ করেছেন।

পোস্টে তিনি লেখেন, “গু’\লি করতে হবে ঘাড়ে, মাথায় নয়। প্রথমে তাকে নিশ্চুপ করাতে হবে। এরপর ছোট ছোট ভুলগুলোও ঠিক করে নেওয়া হবে।” এমন বক্তব্য আন্তর্জাতিক পরিসরের একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হওয়ায় তা কার্যত ওপেন ডেথ থ্রেট হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্রশ্ন উঠেছে, এ ধরনের বক্তব্যের দায় থেকে কি ভারতীয় কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল সহজেই সরে যেতে পারে?

কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়নার এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যম এক্স (X)–এ প্রকাশের পরপরই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সমালোচনার ঝড় তোলে। বাংলাদেশের একাধিক প্রভাবশালী মিডিয়া হ্যান্ডলার মন্তব্য করেছেন, এটি কেবল বক্তব্য নয়; বরং বাংলাদেশি রাজনৈতিক মুখগুলোর বিপরীতে সরাসরি হ’\ত্যার হুমকির ইঙ্গিত বহন করছে। কেউ কেউ আরও একধাপ এগিয়ে দাবি করেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের হাদির ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার পেছনেও এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া মহলের যোগসূত্র থাকতে পারে।

তবে এই বিতর্কিত পোস্টের বিষয়ে কর্ণেল (অব.) অজয় কে রায়নার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বরং অপর একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বিষয়টিকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে উড়িয়ে দেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সামাজিক মাধ্যমের একটি পোস্টকে ঘিরে এতটা সংবেদনশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের উচিত ভারতীয় নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি না করা। তা না হলে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার বদলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

এই পুরো ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের সংবেদনশীল দিক, বিশেষ করে রাজনৈতিক বক্তব্য ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে প্রকাশ্য হুমকির মতো মন্তব্য কতটা দায়িত্বশীল—সেই প্রশ্ন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *