শরিফ ওসমান হাদির ওপর হা’\মলা’\য় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি হা’\মলা’\র আগে মোট আটবার মালিকানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (Dhaka Metropolitan Police)-এর কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট, সংক্ষেপে সিটিটিসি (CTTC), রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন বনলতা আবাসিক এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় একটি হেলমেট এবং একটি ভুয়া নম্বর প্লেটও জব্দ করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বনলতা আবাসিক এলাকার একটি ভবনের পার্কিং থেকে মোটরসাইকেল ও একটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। পরে একই এলাকার একটি ম্যানহোলের ভেতর থেকে ভুয়া নম্বর প্লেটটি পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোটরসাইকেলটি ব্যবহার ও চলাচলের সময় একাধিকবার নম্বর প্লেট পরিবর্তন করা হয়েছিল, যা হা’\মলা’\র পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, মোটরসাইকেলটির প্রথম মালিক ছিলেন আব্দুর রহমান। এরপর পর্যায়ক্রমে শহিদুল, রাসেল এবং একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ওবায়দুল ইসলাম মালিকানা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে আনারুলের কাছে বিক্রি হয় মোটরসাইকেলটি। আবার আনারুলের কাছ থেকে ওবায়দুল এবং পরে শুভর নামে মালিকানা বদল হয়—এভাবে একাধিকবার হাতবদলের প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী দল।
সবশেষে হা’\মলা’\র ঘটনায় জড়িত প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মাইনুদ্দিন ইসলামের নামে মোটরসাইকেলটি কেনা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেটসহ সংশ্লিষ্ট আলামতগুলো পরবর্তী তদন্তের জন্য ডিবি (Detective Branch)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


