বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ডা. জাহিদ বলেন, “সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন হাসপাতালে ভর্তি। আল্লাহর রহমতে গত এক মাসে তার স্বাস্থ্যের যে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে, তা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো।”
তিনি জানান, আজ তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে একটি ছোট ধরণের মেডিকেল প্রসিডিউর করা হয়েছে, যেটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিসিইউতে আইসিইউ সুবিধাসম্পন্ন কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দলের পক্ষ থেকে বেগম জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়ে ডা. জাহিদ বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, বোন সৈয়দা শারমিলা রহমান, ভাই শামীম ইসকান্দারসহ পরিবারের সদস্যরা এবং দলের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।”
চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখেন এবং উনাকে আরও সুস্থতার পথে এগিয়ে দেন।”
তিনি আরও জানান, আগে যেসব জটিলতার কারণে খালেদা জিয়া সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন, এখন সেগুলোর তুলনায় তার শরীর অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে তিনি এখনও গুরুতর অসুস্থ এবং উন্নত পর্যায়ের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রায় এক মাস ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যাসহ চোখের জটিলতায় ভুগছেন। চলতি বছরের জুন মাসে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার স্থাপন করা হয়েছিল।
চিকিৎসকদের পূর্ববর্তী মন্তব্য অনুযায়ী, তিনি এক সময় ছিলেন ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ অবস্থায়। তবে এখন তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে।


