দিপু চন্দ্র দাসকে পুড়িয়ে হত্যা: ধর্ম অবমাননার প্রমাণ পায়নি র‍্যাব

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩ টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার্স নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার ফ্লোর ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন (৩৮), কোয়ালিটি ইনচার্জ মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), কারখানার শ্রমিক মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. লিমন সরকার (২২), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯) ও নিঝুম উদ্দিন (২০), ভালুকার আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. নাজমুল (২১)।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে র‍্যাব-১৪’র সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার সূত্রপাত হয় সেদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেল চারটার দিকে। কারখানার ফ্লোর ইনচার্জ তাকে (দিপু) চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে উত্তেজিত জনতার কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশের কাছে কেন হস্তান্তর করেনি এবং তার নিরাপত্তা কেন নিশ্চিত করা হয়নি, সে কারণে কারখানার সংশ্লিষ্ট দুই কর্মীকে আমরা গ্রেফতার করেছি।’

র‍্যাব অধিনায়ক আরও বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার বিষয়টি খুবই অস্পষ্ট। তিনি কী বলেছেন, এটি খোঁজার চেষ্টা করলেও কেউ এটি বলতে পারেনি। কারও সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল কি না, সেটি আমরা তদন্ত করে দেখব। ঘটনার সূত্রপাত কার সঙ্গে হয়েছে, সেটি শনাক্ত করা যায়নি। আমরা জানতে পেরেছি, কাজ করার সময় ফ্লোরেই বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয় এবং তাকে কোনোভাবেই আর কারখানার ভেতরে রাখা যাচ্ছিল না। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা আসামিদের ধরেছি। কী কারণে ঘটনা ঘটেছে, তা উদ্‌ঘাটন ও জড়িত সবাইকে ধরতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।’

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে অর্ধপোড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৭

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ভালুকা মডেল থানায় নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *