সাম্প্রতিক সময়ে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলার ঘটনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শরিফ ওসমান হাদির নামকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা পরিকল্পিত ও রাজনৈতিকভাবে ব্যাকড আপ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের যৌথ প্রতিবাদ সভায় তিনি বলেন, “আমাদের স্লোগান ব্যবহার করে এই হামলা হয়েছে। এসব হামলার পক্ষে সমাজে অনেক আগে থেকেই সম্মতি তৈরি করা হয়েছে। সরকারের ভেতরের অংশ, রাজনৈতিক ব্যাকআপ এবং পরিকল্পনা—এই তিনটি বিষয় না থাকলে এমন ঘটনা ঘটানো সম্ভব হতো না।”
তিনি আরও বলেন, “এটা কয়েক হাজার মানুষের কাজ না, সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। তবুও ঘটনা ঘটে গেছে, কারণ পুরো ঘটনাই পরিকল্পিত।”
নাহিদ ইসলাম জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরপর যে পরিবর্তনের আশা করা হয়েছিল, বাংলাদেশ সেই পথে এগোয়নি। বরং এখন ‘ম’\ব ভা’\য়ে’\লেন্স’ বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথমে এই শব্দটির বিরোধিতা করেছি, কারণ যারা আমাদের বিপক্ষে ছিল তারাই বলেছিল এটা মবোক্রেসি। আমরা বলেছিলাম এটা গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু এখন, দেড় বছর পেরিয়ে গেছে, আমরা দেখছি—এটা আর ক্ষোভ নয়, এটা পরিকল্পিত অপরাধ।”
তিনি উল্লেখ করেন, শরিফ ওসমান হাদির ঘটনাটিও একটি চক্রান্তের অংশ হতে পারে। “একটা এক্সিডেন্ট বা পরিকল্পিত গু’\লি’\বি’\দ্ধ হয়ে পরবর্তী ঘটনা ঘটানো হবে—এমন ছক আগেই ছিল বলেই মনে হচ্ছে।”
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “আমাদের স্লোগান নিয়ে কেউ মিডিয়ার অফিসে হা’\ম’\লা করেছে, ভাঙচুর করেছে, সম্মতি তৈরি করেছে—এটা দুঃখজনক। আমরা যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশ ছিলাম, আমাদের দায় আছে। আমি তখন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, এই দায় এড়িয়ে যেতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সরকারকে বাধ্য করব সুষ্ঠু তদন্ত করতে। কারা হামলায় অংশ নিয়েছে, কারা সম্মতি তৈরি করেছে, কারা সে রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে—সবাইকে চিহ্নিত করতে হবে। শরিফ ওসমান হাদির হ’\ত্যা’\র বিষয়টিও দ্রুত সুরাহা করতে হবে।”
নাহিদ ইসলাম মনে করেন, যে রাতে হামলা হয়েছে, তখন ব্যারিকেড তৈরি করতে ৫০০ জনও রাস্তায় নামেনি—এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
“যারা মিডিয়ার ওপর হা’\ম’\লা করে, প্রতিষ্ঠান ভাঙে, তারা আইনের শাসনের বিরুদ্ধে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নাম ব্যবহার করে কোনো অপরাধ বা বিশৃঙ্খলা আমরা বিন্দুমাত্র মেনে নেব না।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে দিয়েছেন, জুলাই আন্দোলনের মূল্যবোধ বিকৃত করে কেউ সহিংসতা চালালে, তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।


