জি এম কাদের (GM Quader) নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (Jatiya Party) নির্বাচন করতে চাইলেও কার্যত প্রার্থী সংকটে ভুগছে। মনোনয়ন ফরমের প্রতি আগ্রহ এতটাই কম যে, পাঁচ দিনে ফরম তুলেছেন মাত্র ৬৭ জন। বাধ্য হয়ে দলটি ফরম সংগ্রহের সময় তিন দিন বাড়িয়েছে।
দলটির একটি অংশ আশা করেছিল, নৌকার ভোট ভাগ হয়ে গেলে লা’\ঙ’\লের পক্ষে আশাতীত কিছু হতে পারে। কিন্তু বাস্তবচিত্র বলছে ভিন্ন কথা। নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন কোনো উৎসাহ নেই, বরং অনেকেই বিকল্প রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের ছায়ায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে এক সময় যে জাতীয় পার্টি ফ্যা’\সি’\বা’\দের দোসর তকমা পেয়েছিল, সেই ধারাবাহিকতা আজও কাটেনি। ২০১৪ সালের বিএনপিহীন একতরফা নির্বাচনে ৩৪ আসন পেয়ে ‘বিরোধী দল’ হলেও সরকারেও ছিল তারা। ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে একইভাবে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ হিসেবে সমালোচনার শিকার হয় জাপা।
জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের পর দলের রাজনৈতিক অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। ছাত্রনেতৃত্বের বিরোধিতায় তাদের বিভিন্ন আন্দোলন ও বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বারবার হামলা হয়েছে দলীয় কার্যালয়ে। জি এম কাদের ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতাকে নিয়ে আলাদা দল গঠন করেছেন একই নাম ব্যবহার করে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬৭ জন মনোনয়ন ফরম তুলেছেন—এ তথ্য নির্ভরযোগ্য হলেও দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (Shamim Haider Patwary) দাবি করছেন, ফরম সংগ্রহকারীর সংখ্যা দুই শতাধিক। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২৫ বা ২৬ ডিসেম্বর প্রাথমিক প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
তবে বাস্তবে জাপার অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতা এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে চান না। দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ‘নৌকার ভোট লা’\ঙ’\লে আসবে’—এমন সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনোবল হারিয়েছেন নেতারা। ফলে প্রার্থীতায় আগ্রহও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অনেকেই আবার চেষ্টা করছেন অন্য দলে আশ্রয় নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার।
সময়ের সাথে সাথে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে থাকা জাপার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর হয়তো নির্বাচনের ফলেই পাওয়া যাবে।


