দীর্ঘ প্রবাস-পর্ব শেষে দেশে ফিরে তারেক রহমান (Tarique Rahman) শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ (National Martyrs’ Memorial)-এ আসছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে বী’\র হ’\ত্যা’\কা’\ণ্ডের শি’\কার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। তার আগমনকে কেন্দ্র করে সৌধ এলাকায় চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি, আর নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ঢাকা জেলা পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, সৌধ চত্বরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। লেক পরিষ্কার, ফুলের বাগান পরিপাটি এবং অতিথিদের অবস্থান উপযোগী এলাকা পরিষ্কারে নিযুক্ত করা হয়েছে বাড়তি জনবল।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্মৃতিসৌধ চত্বরে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নানামুখী ব্যস্ততা চলছে। পাশাপাশি সতর্ক নজরদারিতে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এলাকাজুড়ে একধরনের প্রস্তুতির আবহ বিরাজ করছে।
স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন পর দেশে এসেছেন। আমরা আগেই জানি তিনি স্মৃতিসৌধে আসবেন। সে অনুযায়ী পূর্বপ্রস্তুতি নিয়েছি। সাধারণ সময়েও স্মৃতিসৌধ পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, তবে এবার বাড়তি যত্ন নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জনসাধারণের প্রবেশ সাময়িকভাবে সীমিত করা হতে পারে।”
নিরাপত্তা নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস্ ও ট্রাফিক উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, “তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, যার মধ্যে থাকবে ইউনিফর্মধারী পুলিশ, ট্রাফিক ইউনিট, গোয়েন্দা সংস্থা ও সাদা পোশাকের সদস্যরা।”
তারেক রহমানের এই আগমনকে ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ যেন প্রস্তুত এক বিশাল সাংগঠনিক আয়োজনের মাঠ। একদিকে বী’\র শি’\হো’\দের প্রতি শ্রদ্ধা, অন্যদিকে রাজনৈতিক বাস্তবতা—দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


