সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party) আনুষ্ঠানিকভাবে দুই প্রার্থীকে মনোনীত করেছে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়ার আগেই এই দুটি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয়ভাবে। বিষয়টি ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্বিতীয় পর্যায়ে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সেই তালিকায় সুনামগঞ্জ-২ আসনের জন্য ঘোষণা করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাছির উদ্দীন চৌধুরীর নাম। দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকা বয়োজ্যেষ্ঠ এই নেতা এখন দলীয় প্রচারণা ও কর্মী ঐক্য গঠনে ব্যস্ত।
তবে এর ঠিক পরে, রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি চিঠি। সেখানে দেখা যায়, দলীয় মহাসচিবের স্বাক্ষরে ২০ ডিসেম্বর তারিখে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ও জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেলকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চিঠির বিষয়টি ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (Sylhet division in-charge) জিকে গৌছ বিষয়টি স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “সুনামগঞ্জ-২ আসনে দলের দুই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের সময় এদের মধ্যে একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।”
দলীয় মহলে এমন দ্বৈত মনোনয়নকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এতে করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী নেতাদের প্রতি দলের সম্মান দেখানো এবং চূড়ান্ত সময়ে বাস্তবতা অনুযায়ী প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ রাখা হচ্ছে।
সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত একজনই প্রতীক নিয়ে মাঠে নামেন। এখন দেখার বিষয়, আগামী ২১ জানুয়ারির আগেই এই দুই নেতার একজন নিজে থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন, নাকি দল কেন্দ্র থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।


