ঋণখে’\লা’\পি তালিকা থেকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (Mahmudur Rahman Manna)-র নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এতে করে বগুড়া-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকলো না বলেই জানিয়েছেন মান্নার আইনজীবীরা।
এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ঋণের ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের নামে একটি ‘কলব্যাক নোটিশ’ পাঠানো হয়। ১০ ডিসেম্বর পাঠানো ওই নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানা উল্লেখ করে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নোটিশ অনুযায়ী, বকেয়া পরিশোধ না করলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়। আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে অংশীদারিত্ব কাঠামো অনুযায়ী মান্নার মালিকানা ৫০ শতাংশ, এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর মালিকানা ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ইসমত আরা লাইজুর ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ঋণখে’\লা’\পির তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার দাবিতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। তবে গত বুধবার হাইকোর্ট সেই রিট আবেদন খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টে রিট খারিজ হওয়ার পর মান্না আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের দ্বারস্থ হন। আজ সেই আদালত থেকে তার পক্ষে আসে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।
আইনজীবীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই আদেশের ফলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আর কোনো বাধা থাকার কথা নয়, ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে নাগরিক ঐক্যের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ এখন পুরোপুরি উন্মুক্ত মান্নার জন্য।


