ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নোয়াখালী জেলার ছয়টি আসনে মোট ৬২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, “নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।”
বিএনপির প্রার্থীরা ও অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
ছয়টি আসনের প্রতিটিতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি আসনে দেখা গেছে বিএনপির অভ্যন্তরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে।
- **নোয়াখালী-১ ব্যারিস্টার এম এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা)
- নোয়াখালী-২: জয়নুল আবদিন ফারুক (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা)
- স্বতন্ত্র: কাজী মফিজুর রহমান (বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য)
- নোয়াখালী-৩: বরকত উল্লাহ বুলু (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান)
- নোয়াখালী-৪: মো. শাহজাহান (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান)
- নোয়াখালী-৫: মো. ফখরুল ইসলাম (সাবেক উপজেলা বিএনপি নেতা)
- স্বতন্ত্র: হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ (প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদের সহধর্মিণী)
- নোয়াখালী-৬: মাহবুবের রহমান শামীম (চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএনপি)
- স্বতন্ত্র: প্রকৌশলী ফজলুল আজিম (হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি)
- স্বতন্ত্র: শামীমা আজিম (তাঁর সহধর্মিণী)
- স্বতন্ত্র: প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজিব (হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক)
এই তিনটি আসনে বিএনপির একাধিক নেতা, মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন, যা জেলা রাজনীতিতে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও মতানৈক্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
অন্যান্য দলের প্রার্থিতা:
নোয়াখালীর ছয়টি আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ নোয়াখালী-৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য দল যেমন জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকেও প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রশাসনিক প্রস্তুতি:
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং আচরণবিধি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


