কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট ৫৮ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ১১ জন রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়—জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসনভিত্তিক প্রার্থীসংখ্যা:
– কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ১৩ জন
– কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ৮ জন
– কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ১০ জন
– কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ৯ জন
– কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ৮ জন
– কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে ১০ জন
সারাদেশের মতো কিশোরগঞ্জেও ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ। সব আসনে প্রার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করলেন
- কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক (Dr. M Osman Faruk) করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন।
- কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
- কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মো. মাজহারুল ইসলাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
- কিশোরগঞ্জ-২ আসনে অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন মনোনয়ন জমা দেন জেলা রিটার্নিং অফিসারে।
- কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ আহসানুল হুদা এবং জামা’\য়াত মনোনীত অধ্যাপক মোহাম্মদ রমজান আলী বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির বিদ্রোহ
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল।
কিশোরগঞ্জ-১: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিন বিএনপি নেতা
এই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন—
– সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ হিলালী
– জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল
– সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম খান চুন্নু
মনোনয়ন জমার পর্ব শেষে এখন অপেক্ষা যাচাই-বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের। স্থানীয়ভাবে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নির্বাচনী মাঠে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি করেছে।


