জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করেছে পুলিশ।
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শামীমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গত রাতে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি। মুঈদ বলেন, সম্প্রতি শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পোশাক শিল্পে অস্থিরতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড—এই দুটি ঘটনাই অস্বাভাবিক।
তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুসারে দুটি ঘটনার সঙ্গে হাবিবুর রহমান হাবিবের সংশ্লিষ্টতা আছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্তমানে তাকে আশুলিয়া থানায় রাখা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিন দফায় শামীমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে আট শিক্ষার্থী ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন—বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. আহসান লাবীব, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাজু আহাম্মদ, একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাজন মিয়া, ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হামিদুল্লাহ সালমান, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের আহমেদ, একই শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. আতিকুজ্জামান এবং সিএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সোহাগ মিয়া।
উল্লেখ্য এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ শ্রাবণ গাজী হত্যার সাভার মডেল থানার ০৮ নম্বর মামলার ১৯ নম্বর আসামি জাবি’র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।