আনুপাতিক হারে নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো ধারণাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, এটা বুঝতেই মানুষের বহু দিন চলে যাবে। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তারাই আনুপাতিক হারে ভোটের কথা বলছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী আহমেদ বলেন, জনগণ কি জানে এটা (আনুপাতিক হারে নির্বাচন) জিনিস? জনগণ জানে ব্যালট পেপারে তার পছন্দের প্রতীককে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ফেলা। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা বুঝতেই তো তাদের বহুদিন চলে যাবে। মানুষের এটা নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। হঠাৎ করেই এ প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আসা মানে, যারা সরাসরি জনগণের ভোটকে ভয় পায়, যারা প্রত্যক্ষ ভোটের প্রতিযোগিতায় ভয় পায় এবং যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তারাই আনুপাতিক হারে ভোটের কথা বলছে। নির্বাচনের কথা বলছে। এটা সাধারণ মানুষের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।
রিজভী আহমেদ বলেন, পতিত গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি ও তার দোসররা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। একটার পর একটা ঘটনা সারাদেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। আতঙ্কিত করছে। তাদেরকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নিমজ্জিত করাচ্ছে।
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সচিবালয় হলো চারদিকে ঘেরা একটি সরকারি দফতর। সেখানে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল এত ফাইল এবং তার মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত দুর্নীতিবাজ সাবেক কেবিনেট সচিব, যার নামে তদন্ত হচ্ছে, তার ফাইলও পুড়ে গেছে। এটা তো আশ্চর্যজনক! সারাদেশের মানুষ তো এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করছে। জনগণের মনে তো সন্দেহ আসতেই পারে। এটি তো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সিনেমায় যেমন একের পর এক ঘটনা আসে, এটিও তাই।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সচিবালয়ে যারা আছে, তারা মুজিব কোট পরে ডিসি-এসপি-ওসিগিরি করেছেন। তারা আপনাদেরকে সহযোগিতা করবে কেন? তারা কেন বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করবে? তারা তো নানা কারসাজির মাধ্যমে সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করবে।