দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের ধারণাকে মাথায় রেখে জাতীয় সংসদ ভবনের অভ্যন্তরীণ কাঠামো পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষকে উচ্চকক্ষ হিসেবে পুনর্গঠনের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিকল্প হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা শপথ কক্ষকেও উচ্চকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা বিবেচনা করা হচ্ছে।
নতুন কাঠামোর পরিকল্পনা
বর্তমানে ব্যবহৃত অধিবেশন কক্ষকে নিম্নকক্ষ হিসেবে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপারিশ অনুযায়ী, নিম্নকক্ষে সদস্য সংখ্যা ৪০০ জন করার প্রস্তাব রয়েছে, যেখানে বর্তমানে ৩৫৪টি আসন রয়েছে। ফলে নিম্নকক্ষের আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অধিবেশন কক্ষে কূটনীতিক ও বিদেশি অতিথিদের জন্য সংরক্ষিত দুটি লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে সংসদ কাঠামো পুনর্গঠনের চূড়ান্ত নীতিমালার ওপর।
সংবিধান ও রাজনৈতিক মতামতের সমন্বয়
এ প্রসঙ্গে সংসদ সচিবালয় (Parliament Secretariat) এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “সংবিধান সংস্কার ও নির্বাচন সংস্কার কমিশন ভবিষ্যৎ সংসদ কাঠামো পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। এতে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি (BNP) সহ কয়েকটি দল এবং সংগঠন বর্তমান কাঠামো বজায় রাখার পক্ষে সুপারিশ করেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সংসদ সচিবালয় সংসদের নতুন কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই কাঠামোগত পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে।