মাগুরায় সংঘটিত নির্মম ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত চার দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) (CMH Dhaka) কর্তৃপক্ষ আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির ফুসফুসে বাতাস জমে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং বুকে টিউব বসানো হয়েছে। অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তার মস্তিষ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিশুটির মা জানান, তিনি হাসপাতালের শয্যাপাশে অবস্থান করছেন, তবে শিশুটির কোনো নড়াচড়া নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি
রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (Jahangir Alam Chowdhury) শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে যান। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দোষীরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।
বিক্ষোভ ও গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় মাগুরা আদালত চত্বরে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ বিক্ষোভ করেছেন। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। এসময় মাগুরা (Magura) শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেন।
ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, বোনের স্বামী, ভাশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে আসামিদের আদালতে হাজির এবং রিমান্ড আবেদন করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ
এদিকে, হাইকোর্ট (High Court) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিশুটির ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টাল থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত ও ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে।
শিশুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।