দেশের মোট ৩৪টি রাজনৈতিক দলের নিকট সংস্কার কমিশনের ছয়টি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। ২২শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই অনুলিপিগুলো দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, প্রতিবেদনগুলোর সফট কপিও দলগুলোর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
সুপারিশসমূহের বিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
সংস্কার কমিশনের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো ছক আকারে বিন্যস্ত করা হয়েছে। তবে, পুলিশ সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশগুলো এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেনি। কমিশনের মতে, তাদের প্রস্তাবিত সংস্কারসমূহ প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমেই বাস্তবায়ন সম্ভব।
সংস্কার পরিকল্পনার বিশ্লেষণ
দলগুলোর কাছে পাঠানো সংস্কার পরিকল্পনায় মোট ১৬৬টি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—
- সংবিধান সংস্কার: ৭০টি সুপারিশ
- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার: ২৭টি সুপারিশ
- বিচার বিভাগের সংস্কার: ২৩টি সুপারিশ
- জনপ্রশাসন সংস্কার: ২৬টি সুপারিশ
- দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার: ২০টি সুপারিশ
মতামত প্রদান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি
প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে দুটি প্রধান দিক থেকে—
১. সুপারিশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি
দলগুলোকে তিনটি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়েছে—
- ‘একমত’
- ‘একমত নই’
- ‘আংশিকভাবে একমত’
২. বাস্তবায়নের সময়কাল ও উপায়
দলগুলোর কাছে ছয়টি বিকল্পের ভিত্তিতে সুপারিশ বাস্তবায়নের সময়কাল ও উপায় নির্ধারণের অনুরোধ করা হয়েছে—
- নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে
- নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে
- নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে
- গণপরিষদের মাধ্যমে
- নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে
- গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে
দলগুলোর জন্য প্রতিটি সুপারিশের পাশে মন্তব্য করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের মতামত বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করতে পারে।
মতামত প্রদান ও সময়সীমা
রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোকে ১৩ই মার্চের মধ্যে তাদের মতামত প্রদান করতে বলা হয়েছে। এই মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রমের রূপরেখা নির্ধারণ করা হবে।