বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (Bangladesh Jamaat-e-Islami) আমির ডা. শফিকুর রহমান (Dr. Shafiqur Rahman) পাশবিক ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশু আছিয়ার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনটিকে (১৩ মার্চ) ‘আছিয়া দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
আছিয়ার স্মরণে বিশেষ দিবস পালনের আহ্বান
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, মাগুরায় বর্বর নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া ইতিহাসের করুণ সাক্ষী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে সারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চলে গেল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দোয়া করে বলেন, আল্লাহ যেন আছিয়াকে তাঁর প্রিয় বান্দাহ হিসেবে কবুল করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের এই শোক সহ্য করার শক্তি দেন।
তিনি আরও বলেন, আছিয়ার এই করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে আমাদের সমাজ শিশুদের জন্য কতটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এই পাশবিক ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের সমাজ ও মানসিকতার মধ্যে চরম অবক্ষয় ঘটেছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সামাজিক মূল্যবোধের পুনর্জাগরণ ও মস্তিষ্কের সংশোধন একান্ত জরুরি।
‘আছিয়া দিবস’ পালনের আহ্বান
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে তুলতে হলে সংশোধনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এরই অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালন করা যেতে পারে, যার মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদের সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিবসের মাধ্যমে এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে যেখানে শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ নিরাপদে থাকবে।
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, যারা পাশবিক লালসার শিকার করে নিষ্পাপ এই শিশুটির জীবন কেড়ে নিয়েছে, আমি তাদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ধর্ষকদের শাস্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে এবং এমন শাস্তি দিতে হবে যা যুগের পর যুগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আসুন, ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে এবং সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই, যাতে আর কোনো আছিয়া এভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে না হয়। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন এই পাশবিক ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং নিহত শিশুটির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।