বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) (Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET)) ছাত্র আবরার ফাহাদ (Abrar Fahad) হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (A K M Asaduzzaman) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন (Syed Enayetur Rahim) এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি
ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। আজ সেই রায় ঘোষণা করা হলো।
মামলার পটভূমি
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল (Sher-e-Bangla Hall) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন আবরারের বাবা চকবাজার থানা (Chawkbazar Police Station) এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আবরারকে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।
বিচারিক আদালতের রায়
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ (Dhaka Speedy Trial Tribunal-1) ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স
বিচারিক আদালতের রায় অনুমোদনের জন্য ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে আসে এবং তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। একইসঙ্গে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।
২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি পৃথক জেল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি হয় এবং তা গ্রহণ করা হয়। এরপর সব আবেদন একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট পূর্বের রায় বহাল রাখেন।