ভারতের পরিকল্পনায় সাবের হোসেন চৌধুরী (Saber Hossain Chowdhury), শিরিন শারমিন চৌধুরী (Shirin Sharmin Chaudhury) এবং শেখ ফজলে নূর তাপস (Sheikh Fazle Noor Taposh)-কে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ (Awami League)-কে রাজনীতিতে ফেরানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (Jatiya Nagorik Party)-র দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah)।
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তার এই মন্তব্যের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি (BNP) ও জামায়াত (Jamaat) তাদের নিজস্ব অবস্থান প্রকাশ করেছে। তবে আওয়ামী লীগ কীভাবে এই অভিযোগকে দেখছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে।
বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রতিক্রিয়া
৫ই আগস্টের পর দেশ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (A. F. M. Bahauddin Nasim) বিবিসিকে বলেন, “চলমান বিষয়টি সম্পর্কে আমার কোনো তথ্য নেই। কে বলেছে, কারা বলেছে, আমি জানি না।”
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরবে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বারবার নির্বাচিত। তিনি এখনো তার দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগকে ঘিরে যা কিছুই হবে, তার নেতৃত্বে শেখ হাসিনাই থাকবেন।”
সেনানিবাস থেকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের প্রস্তাব?
এর আগে, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায় তিনি ও আরও দুজন সেনানিবাস থেকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের প্রস্তাব পেয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, “আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই পরিকল্পনায় রাজি হই। আমাদের জানানো হয়, ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাব পেয়েছে এবং শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে সম্মত হয়েছে।”
এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে আওয়ামী লীগ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।