দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাংলাদেশের মানুষ কোনো মহামানবের জন্য অপেক্ষা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী (Amir Khasru Mahmud Chowdhury)। সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমির খসরু বলেন, “কোন মহামানব গণতন্ত্রের সমাধান দেবেন—এমন ধারণা বাংলাদেশে নেই। জনগণ নিজেরাই সংগ্রাম করছে, আন্দোলন করছে। জনগণের চাওয়াই হলো অবাধ নির্বাচন ও জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা।”
বিকেলে গুলশানে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোতে বিএনপি একাধিক সমমনা দলের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রথমে ন্যাপ ভাসানী (NAP Bhasani)-র চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়। এরপর আমজনতার দল (Amjanatar Dal)-এর আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। পরে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (Bangladesh Peoples Party)-র প্রতিনিধিরাও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বৈঠকগুলোর সময় বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আমির খসরু পাল্টা প্রশ্ন করেন, “মানুষ বলতে কারা? যারা রাজপথে আন্দোলন করছে, যারা ৫০টিরও বেশি দল নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম চালাচ্ছে, তারাই তো প্রকৃত জনগণ।”
তিনি বলেন, দেশে যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সুবিধাভোগী গোষ্ঠী হয়ে উঠেছে, তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই কারা জনগণ, সেটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই।
আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আমির খসরু আরও বলেন, “১৬ বছরের এই সংগ্রাম শুধু বিএনপির নয়, গোটা দেশের জনগণের জন্য। এটা ছিল গণতন্ত্রের মুক্তি ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃস্থাপনের জন্য। জনগণের হাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। যে সরকারই নির্বাচিত হবে, তাকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।”