১৫ বছর পর বড় ধরনের পরিবর্তনের সুপারিশ করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী (Armed Forces) অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইসি, ফলে ভবিষ্যতে ভোটে সেনা মোতায়েনের জন্য আর আলাদা করে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হবে না।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ (Akhtar Ahmed) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংজ্ঞা সংশোধনের সুপারিশসহ এ সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (Cabinet Division) বরাবর পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্বাচনী সংস্কারের আওতায় আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল, তারই প্রতিক্রিয়ায় এ সুপারিশ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০০৮ সালের নির্বাচন শেষে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর, ২০০৯ সালে সংজ্ঞা থেকে সশস্ত্র বাহিনী বাদ দেওয়া হয়।
নতুন এই প্রস্তাব কার্যকর হলে নির্বাচনকালীন সেনা মোতায়েনের জন্য আর আলাদা অনুমোদন প্রয়োজন হবে না, যা নির্বাচন পরিচালনায় ইসির স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নকে আরও জোরদার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হলে সরকারের অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আওতায় ফের যুক্ত করার এই উদ্যোগ ভবিষ্যতের নির্বাচনী পরিবেশ ও প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন ইসির নিজস্ব সক্ষমতা বাড়বে, তেমনি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক টানাপোড়েনের বাইরে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।