বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া (Begum Khaleda Zia)-র গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ এখন রয়েছে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটায় সরেজমিনে দেখা যায়, ‘ফিরোজা’র সামনের রাস্তা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কোনো গাড়ির প্রবেশের অনুমতি নেই; শুধুমাত্র হেঁটে চলাচলে সামান্য শিথিলতা রাখা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও ফিরোজার চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন। রাস্তায় স্থাপিত ব্যারিকেড আর সতর্ক দৃষ্টি ঘিরে রেখেছে পুরো এলাকা। প্রত্যেকটি গতিবিধি নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে ফিরে এসেছে ঢাকার রাজনীতির এক বিশেষ মুহূর্তের পরিচিত দৃশ্যপট।
এর আগে, সোমবার লন্ডনের গ্রিনিচ সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কাতারের আমিরের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স (Air Ambulance)-এ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। পথে কাতারের দোহা বিমানবন্দরে কিছু সময় যাত্রা বিরতি শেষে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন তিনি। অবশেষে সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার ফেরাকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন আলোচনার ঝড় উঠেছে, তেমনি ফিরোজার নিরাপত্তা ঘিরে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন সতর্কতা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই প্রস্তুতি ও সেনা মোতায়েন, তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা এবং রাজনৈতিক গুরুত্বের প্রতিফলন হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।