আবদুল হামিদের সেফ এক্সিট : নেপথ্যে জামায়াতের নেতা জিহাদ খান এবং এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশনের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেন!!

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় তার নিজের জেলা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত তাহসীনা আরিফ ও এসবির সহকারী উপপরিদর্শক মো. সোলায়মানকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। অথচ আমার হাতে আসা অভিবাসন পুলিশের করা সাধারণ ডায়েরির একটি অনুলিপি অনুযায়ী, আবদুল হামিদ ও তার দুই আত্মীয়ের বিদেশ যাত্রার আগে সহকারি পরিচালক পদমর্যাদার একজন এনএসআই কর্মকর্তা ও ডিজিএফআইতে কর্মরত একজন উইং কমান্ডার অনাপত্তি প্রদান করেন। ঘটনার আরো গভীরে প্রবেশ করলে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের “ম্যানেজ” করার পাশাপাশি ; ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) হিসেবে কর্মরত মোয়াজ্জেম হোসেনকেও ম্যানেজ করেন আবদুল হামিদের শ্যালক এবং কিশোরগঞ্জ ৩ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী কর্নেল (অব) জিহাদ খান। মূলত এই জিহাদ খানের কথাতেই মিলেছে গোয়েন্দা সংস্থার ক্লিয়ারেন্স। দেশের এয়ারপোর্টের সবচেয়ে প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তার পদটি দিয়ে রাখা হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত; ইমিগ্রশনের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেনকে। আবদুল হামিদের শ্যালক এই জিহাদ খানের সাথে জামায়াতে ইসলামীর জন্য নিবেদিতপ্রাণ এয়ারপোর্টের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেনের অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই, মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আবদুল হামিদকে দেশ ছাড়ার ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়। অথচ এই ক্রিমিনাল ডিআইজি মোয়াজ্জেমকে তার পদে এখনো বহাল রেখে; মাঠ পর্যায়ের নিতান্তই সাধারণ পুলিশ কর্মকর্তা: হাছান চৌধুরী, তাহসীনা আরিফ ও সোলায়মানকে প্রত্যাহার করা হলো। অথচ তারা সকলেই জাস্ট তাদের বস ডিআইজি মোয়াজ্জেমের আদেশ বাস্তবায়ন করেছে মাত্র! এ যেন উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে দেয়ার মতো ঘটনা! আমি যেই তথ্য ফাঁস করলাম, সেটা জেনে- বুঝেই এবং দায়িত্ব নিয়েই ফাঁস করলাম! এয়ারপোর্টের ডিআইজি হিসেবে যদি মোয়াজ্জেম হোসেনকে বহাল রাখা হয়, আগামী দিনেও এরকম আরো অনেক আওয়ামী দোসরকেই সেফ এক্সিট তিনি দিবেন। অবিলম্বে ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আবদুল হামিদের শ্যালক জামায়াত নেতা জিহাদ খানকেও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবেদনটি প্রবাসী সাংবাদিক নাজমুস সাকিবের ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *