তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়েই নানা সুযোগ সুবিধা নিয়ে সমালোচনায় ইউনূস

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ গ্রুপের জন্য বিশেষ সুবিধা আদায়ের অভিযোগে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট, ছাত্র আন্দোলনের জোরে আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের পতনের পর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। এরপর থেকেই তার প্রতিষ্ঠানের একের পর এক সরকারি অনুমোদন ও সুবিধা প্রাপ্তির ঘটনা সামনে আসে, যা ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঢাকা শহরে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’র দ্রুত অনুমোদন, ‘গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস’ এর জনশক্তি রপ্তানির লাইসেন্স প্রদান এবং ‘গ্রামীণ টেলিকম’-এর ডিজিটাল ওয়ালেট চালুর অনুমতি।

এছাড়া, তার পুরনো প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ ব্যাংক’-এর কর মওকুফ করা হয় এবং সরকারের ব্যাংকটিতে থাকা শেয়ারের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এসব সিদ্ধান্তকে ঘিরে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, বিশেষ করে যখন শ্রম আইন লঙ্ঘন এবং অর্থপাচারের অভিযোগে থাকা মামলাগুলো দ্রুত খারিজ হয়ে যায়।

বিশিষ্টজনেরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকাকালীন নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ সুবিধা আদায় করা এবং মামলা খারিজ হওয়া সরাসরি স্বার্থের সংঘর্ষ তৈরি করে, যা জন আস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

অন্যদিকে, ইউনূসপন্থি সমর্থকরা দাবি করছেন, এসব অনুমোদন এবং সুবিধা আগেই পাওয়ার কথা ছিল, যা অতীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আটকে ছিল। তারা বলছেন, এখন নীতিমালার অধীনেই এগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিদ্ধান্তগুলোর প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়টি যথাযথভাবে ব্যাখ্যা না করায়, পুরো ঘটনা জনমনে সন্দেহ ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *